সজনে পাতার উপকারিতা – সেরা ২০টি

আপনি যদি সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে।

কারণ সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অশেষ নেয়ামত। সকলেই সুস্থ ও সবল থাকতে চাই,এখন প্রশ্ন হল- সজনে পাতা খেলে কি সুস্থ থাকা সম্ভব?

উত্তরটি হলো -অবশ্যই সম্ভব কারণ সজনে পাতায় রয়েছে ৩০০ প্রকার রোগের মহা ঔষধ।

সজনে পাতায় থাকা ভিটামিন (যেমন – A, C, E), খনিজ পদার্থ (ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন) এবং প্রোটিন শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সজনে পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

নিয়মকানুন মেনে এই সজনে পাতা খেলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।

আর এই আর্টিকেলে সজনে পাতা সকল উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করা যাক।

সজনে পাতাকে কেন সুপারফুড বলা হয়

এই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন।

সজনে পাতাকে সুপার ফুড বলা হয়।

কারণ সজনে পাতা রয়েছে ৩০০ প্রকার রোগের মহা ঔষধ এছাড়াও এই সজনে পাতায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, শর্করা, আয়রন, প্রোটিন,পটাশিয়াম, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি খেলে আমাদের দেহকে রাখে সুস্থ ও সবল।

এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখা ছাড়াও ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এছাড়া যারা নিরামিষ ভোজী তাদের জন্য এই সজনে পাতা হবে দুর্দান্ত। এই সজনে পাতায় সকল পুষ্টি গুণে ভরপুর থাকায় একে সুপারফুড বলা হয়।

সজনে পাতার উপকারিতা

আপনাদেরকে সজনে পাতার ২০টি উপকার সম্পর্কে জানাবো

১) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

২) কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

৩) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

৫) হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে

৬) সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকায় হাড়কে মজবুত করে

৭) সজনে পাতার টক্সিন দ্বারা সৃষ্ট লিভারকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে

৮) ক্লান্তি ভাব কমাতে ও সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে

৯) মরিঙ্গা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে

১০) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

১১) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

১২) হার্টকে সুস্থ রাখে ও হৃদ রোগের ঝুকি কমায়

১৩) রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে

১৪) মরিঙ্গা ওজন কমাতে সাহায্য করে

১৫) হাঁপানি ও মূত্রথলির উপশম করে

১৬) জ্বর ও সর্দি হলে সজিনা পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়

১৭) সজিনা পাতা খেলে গ্যাসের সমস্যা দূরীভূত হয়

১৮)শ্বাসকষ্ট সমস্যার সমাধান করে

১৯) সজনে পাতা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ারকে বুস্ট করতে সাহায্য করে

২০) সজিনা পাতায় ভিটামিন সি থাকায় আমাদের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে

সজনে পাতার অপকারিতা

সজনে পাতার উপকারিতা থাকলেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে।

১) সজনে পাতা অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো বেশি পরিমাণে খেলে সজিনা পাতায় বেশি পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে হজমে সমস্যা হয় যেমন ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে

২) সজনে পাতার ছাল,ডাল এবং মূল গর্ভবতী মায়েদের খাওয়া উচিত নয় গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে

৩) মরিঙ্গা খাওয়ার পর কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এলার্জি প্রতিক্রিয়া অনুভব হতে পারে. যেমন ত্বকের জ্বালা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়

৪) যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদের মরিঙ্গা পরিহার করাই উচিত।

সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

সজনে পাতার উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই এর ব্যবহার বিধিও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

১) ভাজি অথবা ভর্তাঃ সজনে পাতার শাক হিসেবে ভাজি করে খাওয়া যেতে পারে এবং অল্প সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

তবে এটি বেশি আচে রান্না করলে এর পুষ্টির গুণ নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে এই সজনে পাতা খেলেও কোন উপকারে আসে না

২) জুস হিসাবে খাওয়াঃ সজনে পাতা বেটে অথবা বিলিন্ডারে ব্লেন্ড করে এর জুস হিসেবে খাওয়া যাবে।

তবে এই জুস টিকে আরো টেস্ট বাড়ানোর জন্য আদা, রসুন, বিট লবণ, মরিচ ও মধু মিশে মিক্সড করে খেতে হবে তাহলে এই জুসটি আপনার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ জুস হবে।

৩) সংরক্ষণ করাঃ এই সজনে পাতা টিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে পাউডার করে ছয় মাস যাবত সংরক্ষণ করে খাওয়া যেতে পারে।

৪) গরম পানিতে সজনে পাতার পাউডার মিশিয়ে চায়ের মতো করে খাওয়া যায়।

সজনে পাতা সংরক্ষণ করার পদ্ধতি

শহর অঞ্চলের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলের বসত বাড়ির আনাচে- কানাচে এই সজনে পাতার গাছটি দেখা যায়।

এটি বারোমাসি গাছ হলেও এর মৌসুমে ভালো পাতা গজায়।

আমরা সজনেপাতা কাঁচা খেতে পারি যখন সজনে পাতার ফুল এবং ফল হয় সে ক্ষেত্রে সজনে পাতা কম পাওয়া যায়।

এক্ষেত্রে সজনে পাতা আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।

ইতিমধ্যে আমরা সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু এটি কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে সেটা জানিনা।

এই আর্টিকেলে সজনে পাতার সংরক্ষণের বিস্তারিত আলোচনা করব।

সজনে পাতা সংরক্ষণের জন্য-প্রথমে সজনে পাতাগুলো ডাল থেকে ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিতে হবে।

এর পর পাতাগুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হবে রোদে শুকানোর পরে বিলিন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে একটা চালনে দিয়ে চেলে নিতে হবে।

এরপর পাউডার গুলো একটা এয়ার টাইট কন্টেইনারে ভরে রেখে দিতে হবে এতে দীর্ঘ ছয় মাস যাবত এই পাউডার গুলো ভালো থাকবে।

আপনারা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী এই পাউডার গুলো খেতে পারবেন।

এই পাউডার জুস হিসেবে খেতে পারবেন এবং গরম পানিতে মিশে চায়ের মত করেও খেতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন স্যুপের ভিতর এই পাউডার দিয়ে খেতে পারবেন।

ডায়াবেটিস নিরাময়ে সজনে পাতার উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিরাময়ে সজনে পাতার উপকারিতা অপরিসীম। সজিনা পাতায় ক্লোরোজনিক এসিড থাকে যা রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

একটি গবেষণায় ৩০ জন মহিলাকে তিন মাস ধরে প্রতিদিন ১.৫(৭) চা চামচ সজনে পাতার পাউডার খাওনের ফলে খালি পেটে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাদের প্রত্যেকের রক্তের সর্কারা মাত্র ১৩.৫% কমে গেছে।

সজিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লোমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এই আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে- আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার জন্য সজনে পাতা হবে এক কার্যকরী সমাধান ।

পরিমাণ মতো সজনে পাতা চা অথবা জুস খাবেন তাহলে আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে।

তা না হলে শুধু সজনে পাতা খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।

গর্ভাবস্থায় – সজনে পাতার উপকারিতা

গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় তাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় গর্ভের বাচ্চাটিকে এবং নিজেকে সুস্থ সবল রাখার জন্য।

গভকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীর খাদ্যাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

এ ক্ষেত্রে তাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ,ম্যাগনেশিয়াম, জিংক আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হয়। তাই বলা যায়, সজনে পাতার ব্যবহারের সুবিধা অনেক রয়েছে।

এক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীর জন্য সজনে পাতা হতে পারে একটা চমৎকার খাবার।গর্ভকালীন সময়ে সজনে পাতার কার্যকারিতা অপরিসীম।

১) সজনে পাতায় ভিটামিন এ থাকা এটি গর্ভবতী মায়ের দৃষ্টি শক্তি এবং ভ্রণের দৃষ্টিশক্তি বিকাশের সহায়ক।

ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে, এই সজনেপাতা অথবা পাউডার খেলে ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করবে।

২) সজনে পাতায় লেবুর চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে যা সেবন করলে গর্ভবতী মায়ের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবে

৩) সজনে পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম যা ভ্রণের হাড় ও দাঁতের গঠন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এছাড়াও রয়েছে আয়রন, জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই দরকার।

একটিমাত্র প্রাকৃতিক খাদ্য খেলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।

সজনে পাতার উপকারিতা অপরিসীম।

তবে গর্ভবতী মায়েদের সজনে পাতা অথবা গুড়া খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সজনে পাতা নেওয়ার সময় ডাল কখনোই না নেয় কারণ এই ডালে আছে বিষাক্ত পদার্থ যা গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই সজনে পাতা খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

দুধের বিকল্প হিসেবে সজনে পাতার উপকারিতা

পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে দুধ। এই দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই দুধ খেলে পেটে বদহজম হয় অথবা গ্যাস বেড়ে যায় যার ফলে আমরা দুধ খেতে পারি না।

এখন প্রশ্ন হল- দুধের বিকল্প হিসাবে সজনে পাতা খাওয়া যাবে কিনা?

উত্তরটি হল- অবশ্যই খাওয়া যাবে কারণ সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, আন্টি-অক্সিডেন্ট প্রোটিন।

তাই দুধের বিকল্প হিসাবে সজনে পাতা খেলে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে।

ত্বকের ও চুলের সৌন্দর্যে সজনে পাতার উপকারিতা

আপনার চুল এবং ত্বক নিয়ে চিন্তিত।

আপনার চুল বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ত্বকের সৌন্দর্য কমে গিয়েছে,?

আপনি কি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য এবং চুল ঘন ও কালো বড় করতে চান।

আপনার বাড়ির আশেপাশে লুকিয়ে আছে এর সমাধান। বুঝতে পেরেছেন আমি কোন বিষয়ের কথা বলছি এটি হলো সজনে পাতা, শুনে অবাক হয়েছেন?

এই সজনে পাতার উপকারিতা জানলে আরো অনেক অবাক হবেন।

চুলের যত্নে সজনে পাতার ব্যবহার

এটি চুল মজবুত করেঃ সজনে পাতায় রয়েছে অ্যামিউনো অ্যাসিড যা আপনার চুলের মজবুত ও শক্ত করে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

চুল ঘন করেঃ সজনে পাতায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে আপনার চুল ঘন করে তোলে

এটি চুল লম্বা করেঃ সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং আয়রন রয়েছে, যা আপনার চুল হবে লম্বা।

চুল পড়া কমায়ঃ সজনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন ই যা আপনার মাথার চুল পড়া কমাবে।

আসুন জেনে নেই বাড়িতে থাকায় কিছু উপাদান দিয়ে কিভাবে বানাবেন এই সজনে পাতার হেয়ার প্যাক।
চুল বৃদ্ধির জন্য প্রথমে একটি পাত্রে-

  • ২ টেবিল চামচ সজনে পাতা পাউডার
  • ২ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল

এবার এই উপাদান গুলো ভালোভাবে মেশাবেন তারপর একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হওয়ার পর আপনার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগাবেন এবং বাকি মিশ্রণগুলো আপনার চুলে লাগাবেন ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে ফেলবেন।

তবে মাথায় কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। সজনে পাতার পাউডার এর হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে একদিন মাথায় দেবেন।

এটি আপনার চুলকে দূরত্ব বড় করতে সাহায্য করবে।

ত্বকের যত্নে সজনে পাতার উপকারিতা

সজনে পাতায় লেবুর চেয়েও ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং উচ্চ পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যার ফলে মুখের মেছতা, দাগ, ব্রণ, বয়সের ছাপ ও ঝুলে যাওয়া ত্বক থেকে মুক্তি দেয়

এই পাতায় ভিটামিন এ ও সি থাকার কারণে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে ক্লোজেন তৈরি করে।

সজনে পাতার গুড়া ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়

ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে-

  • ১ টেবিল চামচ সজনে পাতা পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ মধু আর
  • ১ টেবিল চামচ পানি
  • অল্প পরিমাণে লেবুর রস

এগুলো একত্রে একসাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখবেন, যখন এই ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে আসবে তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন।

মুখ পরিষ্কার করার পরে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার মুখ লাগাতে ভুলবেন না।

এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন যার ফলে আপনার মুখের বলিরেখা, দাগ কমে আসবে।

FAQ: সজনে পাতার উপকারিতা

সজনে পাতার কি কি উপকারিতা?

এর উপকারিতা অনেক বেশি। এটি ত্বক ও চুলের যত্নে, ডায়েবেটিক নিয়ন্ত্রণে, হাড়ে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি সহ নানা উপকারে আসে।

কিভাবে সজনে পাতা খেলে উপকার পাওয়া যাবে?

সজনে পাতা ভাজি বা ভর্তা করে, জুস করে, ও চায়ের সাথে খাওয়া যাতে পারে।

এই পাতা কি প্রতিদিন খাওয়া যাবে?

হ্যাঁ যাবে, তবে পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে।

শেষ কথা – সজনে পাতার উপকারিতা

আশা করি সজনে পাতার সকল উপকারিতা ও অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনার মনে যত প্রকারের প্রশ্ন ছিল তা জানতে পেরেছেন ।

৩০০ প্রকারের রোগের মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে।

তাই একে অলৌকিক পাতায় বলা হয়। কারণ সজনে পাতার অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে।

আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যদি সজনে পাতা থাকে তাহলে সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক থাকায় আপনার দেহকে রাখবে সুস্থ ও সবল তাই আপনার খাদ্য তালিকায় আজই যোগ করুন এই সজনেপাতা।

নিয়মিত সেবন করুন তাহলে বুঝতে পারবেন, সজনে পাতার বেনিফিট।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *